ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ৩১-১০-২০২৪ ০৮:১৪:৪৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ৩১-১০-২০২৪ ১০:১৫:০৩ অপরাহ্ন
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ​সংবাদচিত্র : ফোকাস বাংলা নিউজ
রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 
সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার’ ব্যানারে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল শেষে জাতীয় পার্টিকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে কার্যালয় ঘেরাও করতে কাকরাইলের বিজয়নগর এলাকায় আসলে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। একপর্যায়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
টিভি চ্যানেলের ফুটেজে দেখা যায়, হেলমেট পরা একদল লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। এসময় তাদের 'আওয়ামী লীগার দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান' স্লোগান দিতে শোনা যায়। তারা কার্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং ব্যানার, ফেস্টুন ও চেয়ার নিয়ে কার্যালয়ের সামনে আগুন ধরিয়ে দেন। কার্যালয়ের কক্ষের ভেতরেও আগুন দেখা গেছে।
সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নেভাতে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়।
এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, 'জাতীয় বেঈমান জাতীয় পার্টি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজয়নগরে আমাদের ভাইদের পিটিয়েছে, অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। এবার জাতীয় বেঈমানদের উৎখাত নিশ্চিত।' বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলমও একই রকম পোস্ট দেন।
আগামী শনিবার কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে সমাবেশ করতে পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল জাতীয় পার্টি। বৃহস্পতিবার দলটির নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যার পর শাহবাগ থেকে একটি মশাল মিছিল নিয়ে একদল লোক কার্যালয়ে হামলা করে বলে দাবি করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক। তিনি বলেন, কর্মীদের প্রতিরোধে হামলাকারীরা মার খেয়ে পালিয়ে যায়। আধা ঘণ্টা পর সংঘবদ্ধ হয়ে ফিরে তারা কার্যালয়ে আগুন দেয়। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস এসেছিল। তাদের আগুন নেভাতে দেওয়া হয়নি। 
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে অবস্থান নেন। 
বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ